পৃথিবীর ধনীতম দেবতা তিরুপতি

বিশ্বের সবচেয়ে ধনী দেবতা হলেন তিরুপতি বালাজী। অনেকে তাঁকে গোবিন্দা, বিষ্ণু, লর্ড বালাজী কিংবা লর্ড ভেঙ্কটেশ নামে ডেকে থাকেন। দক্ষিন ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ রাজ্যের তিরুমালা পর্বতের শিখরে তিরুপতি শহরে তিরুপতি বালাজীর মন্দিরটি অবস্থিত। শেষনাগ পাহাডের চূড়ায় এই মন্দিরের প্রতিষ্ঠাতা হলেন রাজা শ্রীকৃষ্ণ দেবরায়।

মন্দিরের বর্ণনা --- তামিল ভাষায় তিরুমালা কথার অর্থ হল পবিত্র পাহাড়।। মন্দির চত্বরের মূল মন্দিরটি সোনা দিয়ে মোড়া। দক্ষিণের মন্দিরগুলোর মতোই দেখতে এই মন্দির। মন্দিরের অন্দরের বহু দেব দেবীর মন্দির রয়েছে। দীর্ঘ লাইন অতিক্রম করেই তিরুপতি বালাজীর দর্শন পাওয়া যায়। মন্দিরের গর্ভগৃহে প্রদীপের আলোয় দেবদর্শন । কালো বিশাল মূর্তির মাঝে সোনার প্রলেপ।লর্ড ভেঙ্কটেশ হাত তুলে ঠিক যেন ভক্তদের আর্শিবাদ করছেন।।

চিত্তুর জেলায় অবস্থিত মন্দির থেকে ২ কিমি দূরে বিজয়নগরের শেষ হিন্দু রাজাদের তৈরী স্বর্নমুখী নদীর তিরে চন্দ্রগিরি দূর্গ। তিরুপতির মন্দির জুড়ে শুধু ইতিহাস আর জনশ্রুতির ছড়াছড়ি। আসলে মন্দিরে বিশ্বাস আর কিংবন্তীর এক অদ্ভুত মিশ্রণ দেখা যায়। হাজার হোক তিনিই বিশ্বের ত্রাতা।।

বছরভর ভীড় লেগেই থাকে এই বিশ্ববিখ্যাত মন্দিরেষ। হতদরিদ্র থেকে ক্রোড়পতি, অভিনেতা থেকে মেগাস্টার, রাজনীতিবিদ এমনকি দেশের বাইরের কূটনীতিবিদরাও তিরুপতি মন্দিরে এসে আর্শিবাদ নিয়ে যান। বছরভর প্রচুর মানুষের আনাগোনা লেগেই থাকে।

ইতিহাস --- মন্দিরের যাওয়ার পথে পাহাড়ি রাস্তায় পাপবিনাশনম বলে একটা ঝর্ণা আছে। প্রাচীনকালে লোকে বিশ্বাস করতেন যে ওখানের জলে চান করে তিরুপতির বালাজীর মন্দিরে পূজা দিলে সব পাপ মুছে যায়। তবে সেই পাহাড়ি ঝর্ণা ও রাস্তা এখন বন্ধ হয়ে গেছে। ইংরেজ আমলে মন্দিরে যাওয়ার রাস্তা তৈরি হলে এই পথ বন্ধ হয়ে যায়। প্রাচীনকালে নাকি এটা একটা তীর্থের পথ ছিল। বিশ্বাস ও ভক্তি নিয়ে এখানে বহু মানুষ এখানে মানত করেন। যাঁরা মানত করেন তাঁরা মন্দির চত্বরে তিরুচানুর নামে পুকুরে স্নান করে প্রথমে পাপমুক্ত হন। তারপর তারা মাথা মুন্ডন করেন। শিশু-নারী-পুরুষ কেউই এখানে ব্যাতিক্রম নন।

কীভাবে যাবেন -- ব্যাঙ্গালোর থেকে তিরুপতির দূরত্ব ২৫০ কিমির মতো। সাধারণতঃ শনিবার রাত ৮টায় ব্যাঙ্গালোর থেকে বাস ছাড়ে আর সকালে তিরুপতি (তিরুমালা) পৌঁছে যায়। ওখানে বিশ্রাম ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন হওয়ার জন্য নানান হোটেল রয়েছে এবং প্রাতঃরাশের ব্যবস্থাও আছে। তারপর মন্দির দর্শনের জন্য যান, এখানে প্রায় ৫-৬ঘন্টা লেগে যায় মন্দির দর্শনের জন্য।
Share on Google Plus

About Unknown

This is a short description in the author block about the author. You edit it by entering text in the "Biographical Info" field in the user admin panel.
    Blogger Comment
    Facebook Comment

0 comments:

Post a Comment