শনিদেবের অহঙ্কারের বিষয়ে জানা যায় ‘আনন্দ রামায়ণে’৷ পুরাণের কথা অনুযায়ী, বহু আগে শনিদেব ভগবান শিবের তপস্যা করেছিলেন৷ শিব এই তপস্যায় সন্তুষ্ট হয়ে বর দিতে চাইলে শনিদেব বলেন, ‘হে ভোলনাথ, কর্মের ভিত্তিতে শাস্তি দেওয়ার রীতি না থাকায়, মানুষ থেকে দেবতা সকলেই যা ইচ্ছে তাই করছে৷ এমন এক শক্তি আপনি আমাকে দিন, যাতে আমি কার্য অনুযায়ী দণ্ড দিতে পারি’৷ শনিদেবের এই প্রার্থনা মেনে মহাদেব তাঁকে দণ্ডাধিকারী হিসেবে নিযুক্ত করেন৷
এই ক্ষমতা পাওয়ার পর শনিদেব নিষ্ঠাভরে নিজের কর্তব্য করতে শুরু করেন৷ এই কাজ করতে করতে একসময় শনিদেবের মধ্যে অহঙ্কারের উদয় হল৷ আর সেখান থেকেই শুরু আরও এক নয়া অধ্যায়৷
রাবণ যখন সীতাহরণ করেন, তখন বানরসেনার সাহায্যে তৈরি সেতু রক্ষার দায়িত্ব রাম হনুমানজিকে দেন৷ প্রতিদিনের মতো শনিদেব ভ্রমণে বেরোন৷ ভ্রমণকালে তাঁর চোখে পড়ে সেই সেতু৷ সেখানেই ধ্যানমগ্ন অবস্থায় ছিলেন হনুমানজি৷ এই বিষয়টি দেখে শনিদেব ক্রুদ্ধ হয়ে হনুমানজির ধ্যান ভঙ্গ করার চেষ্টা করেন কিন্তু হনুমানজির ওপর তার কোনও প্রভাব পড়েনা৷ শনিদেব এর ফলে আরও ক্ষুদ্ধ হয়ে ওঠেন৷ তিনি হনুমানজির দিকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেন৷
হনুমানজি শনিদেবকে বলেন তিনি শ্রীরামের ধ্যান করছেন৷ তা শুনেও শনিদেব নিজের সিদ্ধান্তে অটল থাকেন৷ তখন হনুমান বাধ্য হয়ে শনিদেবকে নিজের লেজে বেঁধে আঘাত করতে থাকেন৷ শনিদেব নিজের ভুল বুঝতে পারলে হনুমানজি তাঁকে ছেড়ে দেন৷ তবে শনিদেবের গায়ে-হাতে-পায়ে এতোটাই ব্যথা হয় যে হনুমানজি তাঁর ব্যথা উপশমের জন্য তাঁর হাতে তেল তুলে দেন৷ তবে থেকেই শনিদেবের পুজোতে শনিদেবকে তেল অর্পণ করা হয়ে থাকে৷
- Blogger Comment
- Facebook Comment
Subscribe to:
Post Comments
(
Atom
)
0 comments:
Post a Comment