১) যখন অজ মারা গেছিলেন৷ তখন দশরথের বয়স ছিল মাত্র ৮মাস৷ মাত্র ১৮বছর বয়সেই তিনি অযোধ্যার শাসন শুরু করেন৷ আর শাসনকালের প্রথম থেকেই তিনি খুবই কঠোরভাবে শাসন শোষণ শুরু করেন৷ উত্তর কোশালার বেশ রাজা ততদিন অবধি এই রাজ্যের শাসন শোষন করতেন৷
২) দশরথের কন্যা শান্তা সম্পর্কেও রয়েছে বেশ কিছু গোপন তথ্য৷ যেগুলি একেবারেই অজানা৷ কোশালার রাজার ছিল খুবই সুন্দরী এক কন্যা৷ তাঁর নাম ছিল কৌশল্যা৷ দশরথ রাজার আসনে বসার পরই দশরথ কৌশল্যাকে বিয়ে করতে চান৷ এই দুই পরিবারই একই গোত্রের ছিলেন৷ এর ফলে হিন্দুত্বমতে বিয়ে করতে সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়৷ এরপরই একটি গোপন কারণে রাজা কৌশল্যাকে মেরে ফেলতে চান লঙ্কার রাজা রাবন৷ কিন্তু রাবনের রাণী মন্দাদরী তাঁকে স্ত্রী হত্যা করার জন্য বাধা দেন৷
৩) কৌশল্যাকে হত্যা করার পরিবর্তে রাজা দশরথের থেকে কৌশল্যাকে বিচ্ছেদ করার পরামর্শ দেন৷ রাবন সেটি মেনেও নেন৷ আর তার কথামতনই রাবন বেশ কিছু দৈত্যকে পাঠান ওই স্থানে কৌশল্যাকে অপহরণ করার জন্য৷ এরপর তাঁকে একটি বাক্সে পুড়ে তারপর সরযূ নদীর জলে ভাসিয়ে দেয় সেই বাক্স৷
৪) একদিন দশরথ নদীর জলে এই বাক্সটি ভেসে থাকতে দেখেন৷ এরপর তিনি নদীতে ঝাঁপ দেন ওই বাক্সটি উদ্ধার করার জন্য৷ এরপরই কৌশল্যাকে বাঁচিয়ে তোলেন দশরথ৷ এরপরই দশরথ কৌশল্যাকে বিয়ে করার জন্য প্রস্তুত হয়ে যান দশরথ৷
৫) হিন্দুশাস্ত্র মতে তাদের বিয়ে হয়ে যায়৷ এরপর কৌশল্যা এক কন্যা সন্তানের জন্ম দেন৷ কিন্তু দুখের বিষয় জন্মের পরই একটি পা পঙ্গু হয়ে সে জন্মায়৷ সেই মেয়েটিরই তাঁরা নাম দেন শান্তা৷ কিন্তু কোনও ডাক্তারই তাঁর এই ব্যাধি সারিয়ে তুলতে পারেনি৷ তবে মুনি ঋষিরা জানান কৌশল্যা এবং দশরথ যেহেতু একই পরিবারের সদস্য ছিলেন এবং একই গোত্রে বিয়ে হয়৷ তাই তারই ফল ভুগতে হয়েছে তাদের মেয়ে শান্তাকে৷
৬) রাজা দশরথ তাদের এই কন্যাকে অঙ্গদেশের রাজা রোমপাদের কাছে পৌষ্যপুত্রীরূপে দান করেন৷ রোম্পাদ শান্তাকে বিভাণ্ডক মুনির পুত্র ঋষিশৃঙ্গের সঙ্গে বিয়ে দেন৷ এরপরই ধীরে ধীরে শান্তা যত্নের ফলে সুস্থ হয়ে ওঠেন৷
0 comments:
Post a Comment