এশিয়ার অদ্ভুত ও ভয়ঙ্কর ৪টি ধর্মীয় স্থান

ধর্মীয় স্থানগুলোর মর্যাদা যার যার ধর্মের কাছে অসীম। প্রতি বছর হাজার হাজার মানুষ পৃথিবীর বিভিন্ন ধর্মীয় স্থান দর্শন করেন। তবে কিছু কিছু জায়গা আছে যেখানে সৌন্দর্যের পাশাপাশি অদ্ভুত সব বিষয় রয়েছে। এমনই কিছু ধর্মীয় স্থান আছে যেগুলোর ধর্মীয় মূল্য থাকলেও তার সাথে যোগ হয়েছে ভয়াবহতা।
জেনে নিন এশিয়ার কিছু ভয়ংকর ও বিচিত্র ধর্মীয় স্থান সম্পর্কে-

 ডোঙগু মন্দির, চীন

১৩১৯ সালে নির্মিত চীনের প্রাচীন এই মন্দিরটি যতটা না ধর্মীয় স্থান বলে খ্যাত, ততটাই ভয়ঙ্করও। এখানে প্রতিবছর নানারকম অনুষ্ঠান পালিত হয়। আর অনুষ্ঠানের পরিমাণ বেশি হওয়ার কারণ এই মন্দিরটি কোন সাধারণ মন্দির নয়। এটি মানুষকে তার ভবিষ্যৎ সম্পর্কে বলে দিতে পারে। পুরো মন্দিরটিতে রয়েছে অনেক রাস্তা ও ঘর। এর ভেতরে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে আশীর্বাদের রাস্তা। এই রাস্তা দিয়ে সবাই যাওয়ার চেষ্টা করে সবসময়। এর পাশাপাশি রয়েছে খুশির রাস্তা, নরকের ৭২টি ঘর এবং ১৫ রকমের ভয়ঙ্কর মৃত্যুও! তবে ভয়াবহ এই জিনিসগুলোর পাশাপাশি এখানে রয়েছে সহানুভূতি ও দয়ার পাহাড়ও।
 ২। গোয়া লাওয়াহ মন্দির, বালি

ভারতের বালিতে অবস্থিত এই গোয়া লাওয়াহ মন্দিরের ভেতরে গেলে শুনতে পাবেন হাজারটা চিৎকার। তবে তা ভূতের চিৎকার না হলেও ভূতের চাইতে কম ভয়ানক নয় চিৎকারের উৎস। গোয়া লাওয়াহ শব্দটির অর্থ হচ্ছে বাদুড়ের গুহা। আর ঠিক তাই গুহার নামকরণের সার্থকতা প্রমাণ করতে হাজার হাজার বাদুড় বাস করে এখানে। মনে করা হয় একটা সময় রাজাদের লুকানোর স্থান ছিল এটা। গুজব বলে গুহার ভেতরে কেবল বাদুড়ই নয়, রয়েছে একটি বিষধর সাপও। এই সাপের কাজ হচ্ছে সব রোগ নিরাময় করার পানিকে পাহারা দেয়া। আর ক্ষুধা পেলে বাইরে এসে টপাটপ বাদুড় খেয়ে নেয়।

 ওয়াট ফুমিন, থাইল্যান্ড

থাইল্যান্ডের নানে অবস্থিত এই বৌদ্ধ বিহারটির ভেতরে রয়েছে অনেক বৌদ্ধমূর্তি আর অসাধারণ সব চিত্র। হাতে আঁকা সেই পুরনো ছবিগুলো মানুষের দৈনন্দিন জীবনের ছোট ছোট সময়গুলোকেই ফুটিয়ে তুলেছে নিখুঁতভাবে। তবে এটুকুই শেষ নয়। বিহারের ভয়ঙ্কর ব্যাপারটি হচ্ছে এর ভেতরে থাকা একটি গম্বুজ। যার ভেতরে ঢুকলে দেখতে পাবেন মৃত্যু নিয়ে আঁকা নানারকমের চিত্র। মৃত্যুর পর কী হবে ? মোট ছয়বার জন্ম নেয়ার কথা বলা হয়েছে এখানে। রয়েছে জীবন্ত গরম পানিতে ডোবানো, গরম তেলে চোবানো, পাখি দ্বারা গাছের সঙ্গে বাঁধা এক মহিলার মাথার মাংস ঠুকরে ঠুকরে খাওয়ার চিত্রসহ আরো অনেক চিত্র।

 ৪। হুয়াশান টিহাউস, চীন

কোন রকম নরকের কথা বলা হয়নি এখানে। তবে সরাসরি নরকে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থাই করেছে এই স্থানটি। হুয়াশানের এই পাহাড়টিতে রয়েছে অনেক ধর্মীয় স্থান। আর সেই সঙ্গে আছে ৪৭৪ রকমের ঔষধি গাছও। রাজারা প্রায়ই এখানে পূজা করতে আসতেন। এই পাহাড়ের ওপরে বিধাতার হাতের ছোঁয়া রয়েছে বলেও মনে করেন অনেকে। পাহাড়ের ওপরে রয়েছে আরেকটি ধর্মীয় নিদর্শন। তবে সে পর্যন্ত যেতে হলে প্রথমে একটি সিঁড়িতে নামতে হবে। আর তারপর? হঠাৎ করেই সিঁড়ি উধাও হয়ে যাবে। রেলিং থাকবে না, পাথরের খাঁজে খাঁজে পা ফেলে উঠতে হবে ওপরে। আর একবার যদি সব রকমের ঝামেলা সরিয়ে ওপরে উঠেও পড়েন নেমে আসতে কতটা সময় বা শ্রম লাগবে, আদৌ নেমে আসতে পারেন কিনা, সেটা আন্দাজ করাটা বেশ কঠিনই বলা চলে!



Share on Google Plus

About Unknown

This is a short description in the author block about the author. You edit it by entering text in the "Biographical Info" field in the user admin panel.
    Blogger Comment
    Facebook Comment

0 comments:

Post a Comment