সমস্ত প্রথা মেনে রোজ পুজো না করলে শিবলিঙ্গ রাখা উচিত না। নাহলে মহাদেব অসন্তুষ্ট হন। এমনিতে শিব শান্ত। কিন্তু রেগে গেলে তাঁর মত ধ্বংসাত্বক কেউ নয়। শিবলিঙ্গকে কখনই এই জিনিসগুলি দিয়ে পুজো করা উচিত নয়। দেখে নিন কী সেই জিনিসগুলি-
১) কেতকী ফুল- কে বেশি উচ্চমানের দেবতা এই নিয়ে একবার বিষ্ণু ও ব্রহ্মা তর্ক শুরু করেছিলেন। এরপর হাতাহাতি লাগতে গেলেই শিব জ্যোতির্লিঙ্গ হিসেবে তাঁদের সামনে আবির্ভাব হন এবং বলেন যে তাঁর উৎস আবিষ্কার করতে পারবেন তিনিই শ্রেষ্ঠ দেবতা। বিষ্ণু অনেকদূর গিয়েও হেরে যান। ব্রহ্মা তখন কেতকী ফুলের সাহায্য নিয়ে উৎস আবিষ্কার করেন। কিন্তু শিবের কাছে এই তথ্য লুকিয়ে যান। শিব জানতে পেরে, ব্রহ্মার একটি মাথা কেটে দেন এবং বলেন তাঁকে কোনদিনই ভগবান হিসেবে পুজো করা হবে না। এছাড়া জানিয়ে দেন কেতকী ফুল দিয়েও যেন তাঁর পুজো না করা হয়।
২) তুলসী- শিবপুরান অনুযায়ী জলন্ধর নামের এক অসুরকে নিধন করেছিলেন শিব। জলন্ধরের একটি বরপ্রাপ্ত ছিলেন। যতদিন তাঁর স্ত্রী তুলসীর সতীত্ব বজায় রাখতে পারবেন, ততদিন কোনও দেবতা তাঁকে নিধন করতে পারবেন না। তখন ভগবান বিষ্ণু তুলসীর সতীত্ব লঙ্ঘন করেন। তখনই মহাদেব জলন্ধরকে হত্যা করেন। তখন তুলসি স্বামীর মৃত্যু শোকে বলেন তুলসী পাতা দিয়ে কোনদিন শিবপুজো হবে না।
৩) নারকেলের জল- গোটা নারকেল শিবকে দেওয়া গেলেও, নারকেলের জল দিয়ে শিবপুজো হয় না।
৪) হলুদ- হলুদ মহিলাদের সৌন্দর্য বর্ধক হিসেবে কাজ করে। তাই শিবলিঙ্গ কখনই হলুদ দিয়ে পুজো করা উচিত নয়।
৫) সিঁদুর- স্বামীর মঙ্গল কামনায় স্ত্রীরা সিঁদুর পরেন। অন্যদিকে শিবকে মানা হউ ধ্বংসের দেবতা বলে। তাই শিবলিঙ্গে কখনই সিঁদুর লাগানো উচিত নয়।
- Blogger Comment
- Facebook Comment
Subscribe to:
Post Comments
(
Atom
)
0 comments:
Post a Comment