বিভিন্ন তীর্থক্ষেত্র

কেদারনাথ মন্দির

হিন্দুদের অন্যতম প্রধান তীর্থস্থান।দ্বাদশ জ্যোতির্লিঙ্গের অন্যতম ও পঞ্চকেদারের মধ্যমণি। এটি ভারতের উত্তরাখণ্ড রাজ্যের গাড়োয়াল হিমালয় পর্বতশ্রেণীতে অবস্থিত কেদারনাথ শহরে, মন্দাকিনী নদীর তীরে স্থাপিত একটি শিব মন্দির। কথিত আছে, যে পান্ডবদের হাতে এই মন্দিরটি তৈরি হয়েছিল। ঐই মন্দিরের গঠনশৈলি স্বতন্ত্র।দীপাবলীতে মন্দিরের দরজা বন্ধ হয় এবং খোলে অক্ষয়তৃতীয়াতে। তীব্র শীতের জন্যই মন্দিরটি কেবল এপ্রিল মাসের শেষ থেকে কার্তিক পূর্ণিমা অবধি খোলা থাকে। শীতকালে কেদারনাথ মন্দিরের মূর্তিগুলিকে ছয় মাসের জন্য উখিমঠে নিয়ে গিয়ে পূজা করা হয়। এই অঞ্চলের প্রাচীন নাম ছিল কেদারখণ্ড ; তাই এখানে শিবকে কেদারনাথ নামে পূজা করা হয়।

কেদারনাথ মন্দিরে যাওয়ার জন্য কোনো সড়কপথ নেই। গৌরীকুণ্ড থেকে ১৪ কিলোমিটার পথ পাহাড়ি চড়াই পথে ট্রেকিং করে মন্দিরে যেতে হয়। লোকের বিশ্বাস, আদি শঙ্কর বর্তমান স্থানে মন্দিরটি নির্মাণ করেছিলেন। যদিও মহাভারতেও কেদারনাথ মন্দিরের উল্লেখ আছে। আকারহীন কেদারনাথ শিলাকে মহিষীরূপী মহেশ্বর বলে কল্পনা করা হয়।

বদ্রীনাথ মন্দির

তীর্থ মাহাত্ম্যের বদ্রীনাত সর্বশ্রেষ্ঠ। চারিধামের অন্যতম এই বদ্রীনাথ। উত্তরপ্রদেশের গাড়োয়াল জেলায় অবস্থিত। কালো পাথরের তৈরি ভগবান বিষ্ণুর মূর্তি একানে পদ্মাসনের ভঙ্গিতে আসিন। মন্দিরের সামনে দিয়ে বয়ে গিয়েছে অলকানন্দা ও পাশেই তপ্তকুণ্ড পঞ্চশীলা। অর্থাত্‍ নারদ, নৃসিংহ, বরাহ, গরুড়, ও মার্কণ্ডের এবং পঞ্চতীর্থ, যথা ঋষিগঙ্গা, কুর্মধারা, নারদকুণ্ড, প্রহলাদকুণ্ড ও তপ্তকুণ্ড মূল মন্দিরকে ঘিরে রয়েছে। মন্দিরটি ১৫ মিটীর উঁচু।

শীতের ছয় মাস মন্দিরটি বন্ধ থাকে। কারণ তীব্র শীতে মন্দিরটি বরফে ঢাকা তাকে।

শ্রীরামেশ্বরম

বারতের হিন্দু তীর্তগুলির মধ্যে রামেস্বরম অন্যতম।চার ধামের এক ধাম। দক্ষিণ-পূর্ব ভারতের শেষ প্রান্তে এক প্রণালীতে অবস্থিত শ্রীরামেশ্বরম। সীতাদেবীর গড়া শিবমূর্তি এবং শ্রীরামচন্দ্র কর্ত্তক প্রতিষ্ঠিত হয়েছে শ্রীরামেশ্বরম। ধনুষ্কোটি থেকে প্রায় ২০ কিমি দুরে ভারত মহাসাগর ও বঙ্গোপসাগরের মিলন স্থলে অবস্থিত।

শ্রীদ্বারকা ধাম
দ্বারকা হিন্দুদের কাছে একটি অতি পবিত্র তীর্থ। সপ্তপুরীর এক পুরীর এই দ্বারকা। মথুরা যখন দস্যু রাজার আক্রমণে বিপর্যস্ত, ভগবান শ্রীকৃষ্ণ তখন দ্বারকায় এসে বাস করতে থাকেন। দ্বারকার মূল আকর্ষণ দ্বারকাধীশ া রণছোড়জীর মন্দির। দ্বারকা দোয়ানকা নামে পরিচিত।

শ্রী জগন্নাথ ধাম

তীর্থযাত্রী ও ভ্রমণার্থী উভয়ের কাছেই পুরীর আকর্ষণ অদ্বিতীয়া। এখানে আছেন বিশ্ববিখ্যাত জগন্নাথদেবের মন্দির। ভ্রমণার্থীদের জন্য মনোরম সমুদ্র সৈকত। এখানে সর্বতীর্থের সমন্বয় ঘটেছে।
Share on Google Plus

About Unknown

This is a short description in the author block about the author. You edit it by entering text in the "Biographical Info" field in the user admin panel.
    Blogger Comment
    Facebook Comment

0 comments:

Post a Comment