উপমহাদেশের একমাত্র ভূত-মন্দির, যেখানে দেখা পাবেন ডাইনিদের!

আপনি ভূতে বিশ্বাস করেন? উত্তরটা যদি ‘হ্যাঁ’ হয় তবে আপনার অবশ্য গন্তব্য রাজস্থানের দৌশা জেলা  মেহেন্দিপুর বালাজি মন্দির। আর উত্তরটা যদি ‘না’ হয়, তাহলেও আপনার অবশ্য গন্তব্য এই মন্দির। কারণ মরুরাজ্যের এই অদ্ভুত মন্দির আপনার এতদিনের সমস্ত বিশ্বাস উল্টেপাল্টে দিতে পারে। আমাদের দেশেরই এক  প্রান্তে এটি এমন এক মন্দির, যেখানে আজও ডাকিনী বিদ্যার চর্চা চলে।তবে মেহেন্দিপুরের বালাদি মন্দিরের ভেতরে ঢোকা অত সহজ নয়।
রীতিমত নার্ভের জোর না থাকলে এই মন্দিরে যাওয়ার চেষ্টাও করবেন না। মানসিক ভাবে দুর্বল হলে এই মন্দির
থেকে হয়তো আর কোনওদিন বেরিয়ে আসতে পারবেন না। প্রতিদিন হাজার হাজার ভক্ত এই মন্দিরের ভেতরে ঢোকার জন্য ভিড় করেন। তবে গোটা মন্দির পরিক্রমার আগেই প্রাণভয়ে সেখান থেকে বেরিয়ে আসেন অধিকাংশই। কী আছে সেখানে? এই মন্দিরে তিনটি বিগ্রহের পুজো হয়। বালাজি বা বজরঙ্গবলি, প্রেত রাজ এবং কাল ভৈরব। অনেকেই
বিশ্বাস করেন যে কারোর ওপর অশুভ শক্তি ভর করলে এই মন্দিরে তা দূর করা সম্ভব। প্রচণ্ড গরমেও মরুরাজ্যের
এই গ্রামে ঢুকলেই ঠাণ্ডা কনকনে হাওয়া আপনাকে কাঁপিয়ে দিয়ে যাবে। স্বাভাবিক জীবন যেন এই গ্রামের বাইরে থমকে গিয়েছে। আর একবার এই মন্দির চত্বরে প্রবেশ করলে আপনি আধুনিক জীবনের অস্তিত্বই ভুলে যাবেন। রাত তিনটে থেকে এই মন্দিরের ঢোকার জন্য লাইন শুরু হয়ে যায়। আর এই ভিড় এমন ভয়ানক যে, যে কোনও সময় আপনি পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যুর আশঙ্কা করতে থাকবেন। সকাল বেলায় মন্দিরের দরজা খোলার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয়ে যায় ভেতরে ঢোকার
হুড়োহুড়ি। যদি সই প্রচণ্ড ভিড়ের
ধাক্কা সহ্য করে আপনি থাকতে
পারেন, তাহলে বেশ কয়েক ঘণ্টার
অপেক্ষার পর মন্দিরের ভেতরে ঢুকতে
পারবেন। মন্দিরে পুজোর উপকরণ
হিসেবে কোনও ফুল নয়, কালো রঙের
এক ধরনের বল দেওয়া হয়। যা কখনোই
খাওয়ার যোগ্য নয়। মন্দিরের ভেতরে
সব সময় জ্বলতে থাকা আগুনে এই
বলের আহুতি দিতে হয়।

মন্দিরের ভেতরে চারটি বড় হল ঘর
রয়েছে। অন্য যে কোনও মন্দিরের
মতো ভেতর থেকে মন্ত্রোচ্চারণ,
ঘণ্টাধ্বনি আপনার কাছে ভেসে
আসবে না। আপনাকে স্বাগত জানাবে
কানফাটানো তীক্ষ্ন চিত্কার,
কান্না। ভূতে বিশ্বাস না করলেও এই
মন্দিরে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে আপনার
গা ছমছম করবেই। মন্দিরের ভেতরের
প্রথম ঘরে কাল ভৈরবের মুর্তি
রয়েছে। সেখানেই জ্বলতে থাকা
আগুনে ছুঁড়ে দিতে হবে কালো বল।
এরপরের ঘরে হনুমানজি। তাঁর
আশীর্বাদ নিয়ে এগিয়ে যান তৃতীয়
ঘরের দিকে। এখান থেকে দম চাপা
ভয় আপনাকে ঘিরে ধরবেই।

রাত তিনটে থেকে এই মন্দিরের ঢোকার জন্য লাইন শুরু হয়ে যায়। আর এই ভিড় এমন ভয়ানক যে, যে কোনও সময় আপনি পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যুর আশঙ্কা করতে থাকবেন। সকাল বেলায় মন্দিরের দরজা খোলার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয়ে যায় ভেতরে ঢোকার হুড়োহুড়ি। যদি সই প্রচণ্ড ভিড়ের ধাক্কা সহ্য করে আপনি থাকতে পারেন, তাহলে বেশ কয়েক ঘণ্টার অপেক্ষার পর মন্দিরের ভেতরে ঢুকতে পারবেন। মন্দিরে পুজোর উপকরণ হিসেবে কোনও ফুল নয়, কালো রঙের এক ধরনের বল দেওয়া হয়। যা কখনোই  খাওয়ার যোগ্য নয়। মন্দিরের ভ সব সময় জ্বলতে থাকা আগুনে এই  বলের আহুতি দিতে হয়।মন্দিরের ভেতরে চারটি বড় হল ঘর রয়েছে। অন্য যে কোনও মন্দিরের মতো ভেতর থেকে মন্ত্রোচ্চারণ,ঘণ্টাধ্বনি আপনার কাছে ভেসে
আসবে না। আপনাকে স্বাগত জানাবে কানফাটানো তীক্ষ্ন চিত্কার, কান্না। ভূতে বিশ্বাস না করলেও এই মন্দিরে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে আপনার গা ছমছম করবেই। মন্দিরের ভেতরের প্রথম ঘরে কাল ভৈরবের মুর্তি রয়েছে। সেখানেই জ্বলতে থাকা
আগুনে ছুঁড়ে দিতে হবে কালো বল।এরপরের ঘরে হনুমানজি। তাঁর আশীর্বাদ নিয়ে এগিয়ে যান তৃতীয়ঘরের দিকে। এখান থেকে দম চাপা ভয় আপনাকে ঘিরে ধরবেই। এই ঘরে দেখবেন, বহু নারী-পুরুষ অসহায় ভাবে কাঁদছে, দেওয়ালে মাথা ঠুকছে। এমনকি অনেকে নিজেই নিজের গায়ে ফুটন্ত গরম জল ঢালছে। এই ঘরের ভয়াবহ ছবি পরেও বহুদিন পর্যন্ত আপনাকে তাড়া করে বেড়াবে। এর পরের ঘরে আরও কিছু ভয়াবহতা অপেক্ষা করছে। যাঁরা মানসিক ভাবে দুর্বল, এখান থেকে
ছোট একটি দরজা দিয়ে বাইরে বেরিয়ে যেতে পারেন। এই পর্যন্ত এসে বেশিরভাগই ভয়ের চোটেপালিয়ে যায়। শেষ ঘরটিকে নরকেরদ্বার বলা যেতে পারে।দেখবেন বহু নারী, পুরুষ, শিশু পাথরে,ঘরের পিলারে মোটা চেন দিয়ে বাঁধা। এদেরকে নৃশংস ভাবে মারা হচ্ছে। মনে হয় যেন এরা দীর্ঘদিন কিছু খায়নি। কিন্তু ভুলেও সে কথা কাউকে জিজ্ঞেস করবেন না। আপনার জন্য ভয়ানক কোনও বিপদ অপেক্ষা করে থাকতে পারে। বলা হয় এদের ওপরথেকে অশুভ শক্তির প্রভাব কাটানোর চেষ্টা চলছে।
 মন্দির থেকে বেরিয়ে ভুলেও আর পেছন ফিরে তাকাবেন না। কারণ, মনে করা হয় এই মন্দিরে ঢুকলেই অশুভ শক্তি আপনার পিছু নেবে। পেছন ফিরে তাকালেই তারা আপনাকে কব্জা করে ফেলবে। এমনকি এই গ্রামেই কোনও কিছু খাবেন না, জলও না। সঙ্গে প্রার্থনা করবেন যেন জীবনে এই মন্দিরে আপনাকে ফিরে আসতে না হয়।

Share on Google Plus

About Unknown

This is a short description in the author block about the author. You edit it by entering text in the "Biographical Info" field in the user admin panel.
    Blogger Comment
    Facebook Comment

0 comments:

Post a Comment