গীতার এই আট বাণীই আপনার জীবন বদলে দিতে সক্ষম

 গীতা একটি সাতশো শ্লোকের হিন্দু ধর্মগ্রন্থ৷ এটি প্রাচীন সংস্কৃত মহাকাব্যের একটি অংশ৷ হিন্দুরা গীতাকে ভগবানের মুখনি:সৃত বাণী মনে করে৷ কৃষ্ণর মুখ থেকেই এই গীতার বাণী নি:সৃত হয়েছে ফলে এটি একটি ঐশ্বরিক বাণী হিসেবে বিবেচিত হয়৷ কথিত আছে, কুরুক্ষেত্রে অর্জুনকে এগিয়ে যেতে সাহায্য করেছিল কৃষ্ণ৷ আর সেই বাণীই আজও মানুষকে উদ্ধুদ্ধ করে চলেছে সমাজের মানুষকে৷

যেহেতু বেদব্যাস মহাভারত রচনা করেছিলেন বলে মনে করা হয়, সেহেতু মহাভারতের অংশ রূপে গীতাও তাঁর দ্বারাই রচিত বলে মনে করা হয়৷ গীতার রচনাকাল সম্বন্ধে অনেক রকম মতামত রয়েছে। ঐতিহাসিকেরা এই গ্রন্থের রচনাকাল হিসেবে খ্রিষ্টপূর্ব পঞ্চম থেকে দ্বিতীয় শতাব্দী পর্যন্ত যে কোন সময়ের মধ্যে হতে পারে বলে অনুমান করেছেন।

১) ১৩ডিসেম্বর গীতা জয়ন্তী পালিত হয়৷ কথিত আছে, ভগবান সবসময়ই মানুষের সহায়ে থাকে৷ মানুষের চিন্তাভাবনা, আবেগ, নিশ্বাস প্রশ্বাসের সঙ্গে জড়িত থাকে সেটি৷
২) অন্যের ভাগ্যকে নকল না করে নিজের খারাপ ভাগ্য নিয়েই চলার চেষ্টা করুন৷ সেটি অনেক বেশি বাঞ্ছনীয়৷
৩) যখন কাউকে কোনও পুরস্কার দেবেন৷ তখন সেটি মন থেকে দেওয়ার চেষ্টা করুন৷ সঠিক স্থানে সঠিক পুরস্কার দেওয়া উচিত৷ কিন্তু কখনও কারোর কাছ থেকে পুরস্কার ফিরে পাওয়ার চেষ্টা করবেন না৷
৪) যে তার নিজের সংকল্পে দৃঢ় থাকে সে সহজেই যন্ত্রনা জয় করে সুখ স্বর্গরাজ্যে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয় এবং নিজের আত্মার সম্পূর্ণরূপে মুক্ত করতে সক্ষম হয়৷
৫) ভালো কাজ কখনও বিফলে যাবেনা আপনার৷
৬) যে কাজটিতে ব্যর্থ হবেন সেটি বারংবার চেষ্টা করুন নতুন করে নয়া উদ্যমে তৈরি করার৷ একদিন না একদিন আপনি সাফল্য পাবেনই৷
৭) নিজের মন এবং আত্মাকে শুদ্ধ রাখুন৷ লোভ থেকে বিরত থাকুন৷
৮) চিন্তাভাবনা আরও বেশি বড় করার চেষ্টা করুন৷ আপনার নিজের যা জ্ঞান রয়েছে৷ সেটির মাধ্যমেই নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করুন৷ অন্যের দ্বারা প্রভাবিত হবেন না৷

Share on Google Plus

About Unknown

This is a short description in the author block about the author. You edit it by entering text in the "Biographical Info" field in the user admin panel.
    Blogger Comment
    Facebook Comment

0 comments:

Post a Comment